শাহীনুর ইসলাম ধ্রুব নয়ন:
সম্প্রতি আলোচনায় থাকা ছাগলকাণ্ডের জেরে গরু মাফিয়া ইমরানের সাদিক এগ্রো ফার্মে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২ টার পর শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাকাব্বির আহমেদ। এসময়, ডিএনসিসির ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে, উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগেই সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- সাদেক এগ্রো কর্তৃপক্ষ নিজ থেকে সবকিছু গোছানো শুরু করেছেন এবং খাল দখল করে অবৈধভাবে ভরাটকৃত জায়গা-জমি ও টিনশেড ঘর নিজেরায় ভেঙ্গে ফেলছেন।
এদিকে, গতকাল বুধবার তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। যার ফলে সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এরআগে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অঞ্চল-৫-এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক এগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫-এর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, তারা (সাদিক এগ্রো) রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে খামার করেছে। রাস্তার জায়গায় বেড়া দিয়ে গরুর অবৈধ হাট বসিয়েছিল। এর আগেও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ এসব কোনো বিষয়ে তোয়াক্কা করেনি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনিচ্ছুক ঢাকা উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, খালের ওই অংশে অবৈধ দখলদার সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক নিউজ হয়েছিলো। সেগুলো নিউজ সম্পর্কে করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরানের সখ্য থাকায় কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে, ছাগলকান্ডে এবার সব রাঘববোয়ালদের তথ্য বের হচ্ছে।
উল্লেখ, সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদি পশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।
ঈদুল আজহার আগে সাদিক এগ্রো ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রির ভিডিও প্রকাশের পর থেকে একের পর এক তথ্য আসতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে এনবিআরের মতিউরের সম্পদের তথ্য। এবার উচ্ছেদ অভিযান চলছে সেই সাদিক এগ্রো তে।
Leave a Reply