★নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৬৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চলের লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫০ পরিবারের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছেন ৫টি পরিবার।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সদর, বরখাপন ও পোগলা ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও কৈলাটি, রংছাতি ও খারনৈ নাজিরপুরসহ বাকি ৪টি ইউনিয়নের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ নাগাদ ১৫০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাঁদের মধ্যে বিশরপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ৫টি পরিবারের ২০ জনের মতো আশ্রয় নিয়েছে।’
পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘রাতে যদি আরও পানি বাড়ে তাহলে আগামীকাল আশ্রয়কেন্দ্রে পানিবন্দি মানুষদের আনতে হতে পারে। এক্ষেত্রে স্কুলসহ মোট ৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার, নগদ টাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পানি কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে।’
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, ‘কলমাকান্দা পয়েন্টে উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া কংশ, ধনু ও সোমেশ্বরী নদীর পানিও বেড়ে চলেছে।’
কলমাকান্দা সদরের মধ্যবাজারের বাসিন্দা নয়ন সাহা বলেন, ‘উপজেলা সদরেসহ আশপাশে পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা সদর লাগোয়া চানপুর, রাজাপুর, ভোটপাড়া, মনতলা, ঘোষপাড়া, গোজাকুনিয়া, নোয়াগাও, হরিণতলা নাগডোরা এলাকায় বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়ে সেখানের মানুষ বিপদে আছে। রাতে যদি পানি আরও বাড়ে তাহলে ঘরে থাকাটা সম্ভব হবে না।
Leave a Reply